পটুয়াখালীর মহিপুরে একই রাতে তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাত আনুমানিক ৩টার দিকে মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আতিকুর রহমান মিলনের বাড়িসহ একই এলাকার আবুল হোসেন ও মহিউদ্দিনের বাড়িতে প্রায় ৬-৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হামলা চালায়। এসময় তারা পরিবারের সদস্যদের বেঁধে মূল্যবান মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বশির উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ফরজের নামাজ শেষে মিলন ভাইয়ের বাসায় এসে দেখি গেট খোলা ও দরজার লক ভাঙা, সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করি। বাড়ির মালিক চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রয়েছে।
বাবু নামের একজন জানান, রাত আড়াইটার দিকেও বাজারে নাইটগার্ড নিয়ে বাড়িটি ঘুরে দেখে আছি, তখনও সবকিছু ঠিকঠাক ছিলো।
ডাকাতির শিকার আতিকুর রহমান মিলন বলেন, আমরা স্ব-পরিবারে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে শনিবার মধ্যরাতের যেকোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় আমার বাসা থেকে নগত ৬ লাখ টাকা ৭ ভরি স্বর্ণালংকারসহ আনুমানিক ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
অন্য ভুক্তভোগী সোবাহান জানান, “আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ৬ হাজার টাকা ও ৬ আনি ওজনের কানের ঝুমকা নিয়ে যায়। ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে চলে যান।
অপর ভুক্তভোগীর মহিউদ্দিন বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে সাত আটজনের একটি ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে নগত ২ হাজার ৫'শ টাকা ও ৮ আনি ওজন একজোড়া কানের দুল নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান,একই রাতে টানা তিনটি বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি। ইতোপূর্বে লতিফপুর আকন বাড়ির ডাকাতির ঘটনায় এখনো কোন সূত্র পাওয়া যায়নি। এনিয়ে অত্র এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদ হাসান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দোষীদের সনাক্তের কাজ চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।